অপরিচিতা গল্পের কমন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অপরিচিতা গল্প : সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের ইউনিক সংস্করণ

অপরিচিতা গল্প

পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘অপরিচিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২১ বঙ্গাব্দে ‘সবুজপত্র’ নামক পত্রিকায়। পরে এটি সংকলিত হয় ‘গল্পসপ্তক’ এবং ‘গল্পগুচ্ছ’-এর তৃতীয় খণ্ডে। এই গল্পে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধ, আত্মমর্যাদা, ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদ উঠে এসেছে। কল্যাণী চরিত্রটি একটি নারীর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্মানের প্রতীক।


সৃজনশীল প্রশ্ন ১

উদ্দীপক
কৃষক লতিফ মিয়া মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বন্ধক রেখে যৌতুকের টাকা জোগাড় করেন। কিছু ঘাটতি থাকায় পাত্রের বাবা বিয়েতে রাজি হন না। কিন্তু পাত্র পারভেজ জানিয়ে দেয় সে কোনো লেনদেন নয়, ভালোবাসার বন্ধনে জড়াতে এসেছে।

ক. শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে কী পরখ করতে দিয়েছিলেন?
উত্তর: তিনি কনের অলঙ্কার যাচাইয়ের জন্য স্যাকরার হাতে গয়না দেন।

খ. “বাংলাদেশে আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে নিজ মেয়ের বিয়ে থেকে পাত্রকে ফিরিয়ে এনেছে”—এই কথার তাৎপর্য কী?
উত্তর: এতে বোঝানো হয়েছে, কন্যার পিতার পক্ষ থেকে অপমানজনক পরিস্থিতিতে বিয়ে বাতিল করার একটি সাহসী ও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তের কথা।

গ. পারভেজ ও অনুপমের চরিত্রে কী ধরনের পার্থক্য আছে?
উত্তর: পারভেজ সাহসী, সৎ ও নিজস্ব সিদ্ধান্তে দৃঢ়। অনুপম শিক্ষিত হলেও আত্মবিশ্বাসহীন, নিজস্ব অবস্থান প্রকাশে দুর্বল।

ঘ. অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো লোকদের কারণে কল্যাণী ও লাবনিরা আজও অবমানিত—এই বক্তব্যের বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: এই ধরনের লোভী ও পণপ্রথার পক্ষপাতী ব্যক্তিরাই মেয়েদের অপমানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা সমাজে যৌতুক সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখে।


সৃজনশীল প্রশ্ন ২

উদ্দীপক
জুয়েল আহমেদের সাথে ফাতেমার বিয়ে ঠিক হয়। পাত্রপক্ষ টাকা ও গহনার দাবি করে। মেয়ের বাবা আর্থিকভাবে দুর্বল হলেও সম্মতি জানান ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।

ক. অনুপম কার কাছে করুণা চেয়েছিল?
উত্তর: কল্যাণীর বাবার কাছে।

খ. কল্যাণী কেন আর বিয়ে করতে চায় না?
উত্তর: অপমানজনক আচরণে সে মর্মাহত হয়ে বিয়ের বন্ধনে জড়াতে চায় না।

গ. ফাতেমার কাহিনী ‘অপরিচিতা’ গল্পের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
উত্তর: উভয় ঘটনাতেই মেয়ের বাবাকে যৌতুকের কারণে অপমানিত হতে হয়, যা গল্পের মূল বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’র পুরো ভাব প্রকাশ করে—তুমি কি একমত?
উত্তর: হ্যাঁ, কারণ এতে নারীর আত্মমর্যাদা, যৌতুকপ্রথার প্রতিবাদ এবং মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরা হয়েছে।


সৃজনশীল প্রশ্ন ৩

উক্তি
“দেখিলাম, এই সতের বছরের মেয়েটির উপরে যৌবনের সমস্ত আলো আসিয়া পড়িয়াছে। কিন্তু এখনও শৈশবের কোল হইতে সে জাগিয়া উঠে নাই।”

ক. কাকে কন্যাকে আশীর্বাদ করতে পাঠানো হয়েছিল?
উত্তর: অনুপমকে।

খ. স্যাকরাকে কেন আনা হয়েছিল?
উত্তর: গহনা যাচাইয়ের জন্য।

গ. কল্যাণীর বয়স ও উদ্ধৃত মেয়েটির বয়সের মধ্যে কী মিল আছে?
উত্তর: উভয়েই কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে ওঠার প্রান্তে; শারীরিক পরিণতি থাকলেও মানসিকভাবে তারা এখনও কোমল।

ঘ. “শৈশবের কোল থেকে জাগিয়া উঠে নাই”—কল্যাণীর প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: কল্যাণী সামাজিক নিয়মে পরিণত হলেও, তার অভ্যন্তরীণ শিশুসুলভ নিষ্পাপ মন পরিস্থিতি বুঝে কষ্ট পায় এবং সেই কারণে সে বিয়েতে রাজি হয় না।

আরো পড়ুনঃ আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর


সৃজনশীল প্রশ্ন ৪

উদ্দীপক
রেহানা আক্তার অপমানজনক পরিস্থিতির কারণে বিয়ে করেননি। এখন তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা দান করেন।

ক. অনুপম কার কাছে হাতজোড় করেছিল?
উত্তর: কল্যাণীর বাবার কাছে।

খ. কল্যাণী বিয়েতে সম্মত হয়নি কেন?
উত্তর: নিজের অপমান এবং আত্মসম্মানে আঘাত পাওয়ায়।

গ. রেহানার কাজ ‘অপরিচিতা’র কোন দিক নির্দেশ করে?
উত্তর: নারী-স্বনির্ভরতা এবং আত্মপ্রতিষ্ঠার দিকটি।

ঘ. “রেহানার মানসিক শক্তি কল্যাণীর প্রতিফলন”—এই মন্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত?
উত্তর: দুই চরিত্রেই দেখা যায় আত্মমর্যাদার জন্য আত্মত্যাগ এবং পরবর্তীতে নিজের অবস্থান গড়ে তোলার চেষ্টা। তাই মন্তব্যটি যুক্তিসম্মত।


সৃজনশীল প্রশ্ন ৫

উদ্দীপক
বিয়ের আয়োজন চলছে, হঠাৎ অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান স্থগিত হয়। কনের বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ক. মামার জীবনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: লোভের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তিগত লাভ নিশ্চিত করা।

খ. স্যাকরাকে কেন এনেছিল?
উত্তর: গহনার মূল্য যাচাই করার জন্য।

গ. উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পে কী ধরনের মিল আছে?
উত্তর: উভয় ক্ষেত্রেই যৌতুক ও অপমানজনক আচরণে মেয়ের বিয়ে বিঘ্নিত হয়।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’র প্রতিফলন কিনা তা বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: হ্যাঁ, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই সমাজে প্রচলিত অন্যায় প্রথার বিরুদ্ধে নারীর প্রতিবাদ ও আত্মসম্মান ফুটে উঠেছে।

বিস্তারিত উত্তরের পিডিএফ ডাউনলোড করো 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ