আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 আঠারো বছর বয়স – সৃজনশীল প্রশ্নসমূহ

কবিঃ রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বিষয়ঃ বাংলা সাহিত্য (কবিতা)

আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ১:

উদ্দীপক:
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তার কবিতায় বলেছেন,
"আঠারো বছর বয়স মানে প্রেমের কবিতা নয়
আঠারো বছর বয়স মানে অস্ত্রের শব্দে কাঁপে সারা জনপদ..."

এই পঙক্তিতে কবি আঠারো বছর বয়সের প্রেম-সংবেদনশীল দিকের বদলে তার প্রতিবাদী ও বিপ্লবী দিকটি তুলে ধরেছেন।

প্রশ্ন: (ক) 'আঠারো বছর বয়স' কবিতাটি কে লিখেছেন?
(খ) কবি এখানে প্রেমের পরিবর্তে অস্ত্রের কথা কেন বলেছেন?
(গ) উদ্দীপকের আলোকে আঠারো বছর বয়সের তরুণদের মানসিকতা বিশ্লেষণ করো।
(ঘ) বর্তমান সমাজে এই বয়সের তরুণদের করণীয় সম্পর্কে তোমার মতামত লেখো।


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ২:

উদ্দীপক:
একটি ক্লাসে শিক্ষক বললেন, “তরুণরাই দেশের পরিবর্তনের মূল শক্তি। তাদের চিন্তা, চেতনা ও সাহস সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” ক্লাস শেষে রাহাত ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি পড়ে দেখে যে, কবিও একই বার্তা দিয়েছেন ভিন্নভাবে।

প্রশ্ন:
(ক) আঠারো বছর বয়সে তরুণদের সাধারণত কী ধরনের মনোভাব থাকে?
(খ) শিক্ষক ও কবির বক্তব্যে কী ধরনের মিল রয়েছে?
(গ) উদ্দীপকের আলোকে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার বার্তা ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) তরুণদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে তুমি মনে করো?


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ৩:

উদ্দীপক:
সানিয়া তার আত্মজীবনীতে লেখে—“আমার জীবনের সবচেয়ে টালমাটাল সময় ছিল আঠারো বছর বয়স। ভালোবাসা, হতাশা, স্বপ্ন, আবার সমাজের প্রতি ক্ষোভ—সবকিছু একসাথে চলছিল।” তার এই বক্তব্য রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতার সঙ্গে মিল খুঁজে পেল তার বন্ধুরা।

প্রশ্ন:
(ক) কবিতায় আঠারো বছর বয়সের অনুভূতিকে কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে?
(খ) সানিয়ার জীবনের অভিজ্ঞতা ও কবিতার ভাবের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
(গ) কবির দৃষ্টিতে আঠারো বছর বয়সের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য কী?
(ঘ) তুমি কি মনে করো আঠারো বছর বয়সে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত? যুক্তিসহ উত্তর দাও।

আরো পড়ুনঃ রেইনকোর্ট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ৪:

উদ্দীপক:
তরুণদের উদ্দেশ্যে এক আলোচনায় বলা হয়, “বয়স যখন আঠারো, তখন জীবন এক নতুন মোড়ে আসে—যেখানে ভুল আর সঠিকের দ্বন্দ্বে বারবার প্রশ্ন আসে নিজের পরিচয় নিয়ে।” একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখায়।

প্রশ্ন:
(ক) ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
(খ) আলোচকের বক্তব্য ও কবিতার মূল ভাবের মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে?
(গ) তরুণদের মানসিক দ্বন্দ্ব কেন এ বয়সে বেশি দেখা যায়—বিশ্লেষণ করো।
(ঘ) এই বয়সে কীভাবে একজন তরুণ নিজেকে গঠন করতে পারে, তা নিয়ে তোমার মতামত লেখো।


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ৫:

উদ্দীপক:
আকাশ তার স্কুল ম্যাগাজিনে একটি প্রবন্ধ লিখেছে—“আঠারো বছর বয়স: ভয়ংকর সুন্দর একটি সময়।” এই শিরোনামটিই মূলত এসেছে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা থেকে।

প্রশ্ন:
(ক) ‘ভয়ংকর সুন্দর’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
(খ) আকাশের লেখা ও কবিতার ভাবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।
(গ) আঠারো বছর বয়সের দ্বৈত রূপ ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) বর্তমান তরুণ প্রজন্ম কীভাবে এই বয়সটিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারে—তোমার মত দাও।


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ১ – এর উত্তর

উদ্দীপক:
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তার কবিতায় বলেছেন,
"আঠারো বছর বয়স মানে প্রেমের কবিতা নয়
আঠারো বছর বয়স মানে অস্ত্রের শব্দে কাঁপে সারা জনপদ..."

এই পঙক্তিতে কবি আঠারো বছর বয়সের প্রেম-সংবেদনশীল দিকের বদলে তার প্রতিবাদী ও বিপ্লবী দিকটি তুলে ধরেছেন।


উত্তর:

(ক) 'আঠারো বছর বয়স' কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর:
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি লিখেছেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশের অন্যতম প্রখ্যাত কবি। তিনি তার কবিতায় সমাজের নানা অসঙ্গতি, মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং বিদ্রোহী চেতনা তুলে ধরেছেন। শহীদুল্লাহ সাহেবের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার প্রতিবাদী মনোভাব, বিপ্লবী চেতনা, এবং মানবাধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতি ভালোবাসা। এ কবিতাটিও সেই চেতনারই প্রতিফলন।


(খ) কবি এখানে প্রেমের পরিবর্তে অস্ত্রের কথা কেন বলেছেন?
উত্তর:
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কবিতায় আঠারো বছর বয়স নিয়ে যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, তা হলো বিপ্লবী ও প্রতিবাদী মনোভাব। এখানে কবি প্রেমের কবিতা নয়, বরং অস্ত্রের শব্দে কাঁপানো জনপদের কথা বলেছেন।
এ বয়সে তরুণদের মধ্যে সামাজিক পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক সচেতনতার শক্তি বাড়ে। প্রেমের মত আবেগের পরিবর্তে তারা সংগ্রাম, প্রতিবাদ, ও বিদ্রোহ নিয়ে সচেতন হয়। কবি এই অস্ত্রের প্রতীকে তরুণদের সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি এবং তাদের প্রতিবাদী মনোভাব বোঝাতে চেয়েছেন। এখানে অস্ত্র কোনো পদার্থগত অস্ত্র নয়, বরং মনুষ্যত্বের পক্ষে সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এভাবে, কবি এই বয়সের তরুণদেরকে প্রেমের আদর্শ নয়, বরং আবেগের বাইরে গিয়ে সমাজে ঘটে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আহ্বান করেছেন।

আরো পড়ুনঃ বায়ান্নর দিনগুলি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন


(গ) উদ্দীপকের আলোকে আঠারো বছর বয়সের তরুণদের মানসিকতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:
আঠারো বছর বয়সে তরুণদের মধ্যে অনেক ধরনের মানসিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের সমাজের প্রতি সচেতনতা, বিপ্লবী মনোভাব, এবং জীবনের উদ্দেশ্য খোঁজার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। এই বয়সে তরুণরা সাধারণত:

  1. স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধের অনুভূতি:
    আঠারো বছর বয়সে মানুষ তার জীবনের প্রথম প্রাপ্তবয়স্কতা অনুভব করে, এবং নিজেকে সমাজের অংশ হিসেবে দেখা শুরু করে। তারা নিজের দায়িত্ব এবং বিজ্ঞ ও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে চায়।

  2. আবেগের পরিবর্তে বাস্তবতার উপলব্ধি:
    এ বয়সের তরুণেরা শুধুমাত্র প্রেমের আবেগে আবদ্ধ না থেকে, বরং তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে। তারা তাদের সমাজের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহসী হয়।

  3. স্বপ্ন ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব:
    তরুণদের মধ্যে অনেক সময়ই আবেগ ও বাস্তবতা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা যায়। তারা স্বপ্ন দেখে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার, কিন্তু বাস্তবে যে সকল প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলোর সাথেও তাদের মোকাবিলা করতে হয়। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়েই তারা জীবনের নতুন পথ খুঁজে পায়।

  4. সংগ্রামী মনোভাব ও আত্মবিশ্বাস:
    তরুণদের মধ্যে এই বয়সে বিদ্রোহ ও সংগ্রাম করার প্রবণতা থাকে। তারা মনে করে যে তাদের উচিত সমাজের অন্যায় অবিচার বা অসংগতি দূর করার জন্য তাদের আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে লড়াই করা। এই মনোভাব তাদের বিপ্লবী চেতনা এবং বয়সের শক্তি হিসেবে কাজ করে।


(ঘ) বর্তমান সমাজে এই বয়সের তরুণদের করণীয় সম্পর্কে তোমার মতামত লেখো।
উত্তর:
বর্তমান সমাজে আঠারো বছর বয়সের তরুণদের করণীয় ব্যাপক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সে তরুণদের উচিত:

  1. নিজেকে গঠন করা:
    তরুণদের উচিত এই বয়সে নিজের আদর্শ, মূল্যবোধ, এবং লক্ষ্য স্পষ্টভাবে ধারণ করা। তারা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা পান, তবে ভবিষ্যতে তারা ভালো নেতা, উদ্যোক্তা এবং সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিক হতে পারে।

  2. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:
    তরুণদের উচিত সমাজের প্রতিটি সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সেগুলোর সমাধানে তাদের ভূমিকা রাখা। তারা যদি সমাজের অবিচার, দারিদ্র্য, বৈষম্য ইত্যাদি সমস্যাগুলি নিয়ে সচেতন হয়, তবে তারা সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে পারে।

  3. শিক্ষা ও দক্ষতার উন্নয়ন:
    তরুণদের উচিত এই বয়সে উচ্চমানের শিক্ষা গ্রহণ করা, যাতে তারা সমাজের অগ্রগতির জন্য কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাদের উচিত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।

  4. সমাজের পরিবর্তনে অংশগ্রহণ:
    তরুণরা তাদের সমাজে তথ্য, সচেতনতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি মাধ্যমে নতুন ধারণা এবং তাদের প্রতিবাদী চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে পারে। নির্ভীক ও সাহসী হয়ে, তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

  5. নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করা:
    আঠারো বছর বয়সে তরুণরা নতুন কিছু করার জন্য সবচেয়ে বেশি উদ্যক্ত এবং উদ্যমী থাকে। তাদের উচিত নিজের উদ্যোগে স্টার্ট-আপ, উদ্যোগীতা এবং সমাজসেবা চালু করা, যাতে তারা নিজের এবং অন্যদের জীবন উন্নত করতে পারে।

✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ২ – এর উত্তর

উদ্দীপক:
একটি ক্লাসে শিক্ষক বললেন, “তরুণরাই দেশের পরিবর্তনের মূল শক্তি। তাদের চিন্তা, চেতনা ও সাহস সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
ক্লাস শেষে রাহাত ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি পড়ে দেখে যে, কবিও একই বার্তা দিয়েছেন ভিন্নভাবে।


উত্তর:

(ক) আঠারো বছর বয়সে তরুণদের সাধারণত কী ধরনের মনোভাব থাকে?
উত্তর: আঠারো বছর বয়সে তরুণদের মধ্যে স্বাধীনতা, প্রতিবাদী মনোভাব, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং স্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকে।

(খ) শিক্ষক ও কবির বক্তব্যে কী ধরনের মিল রয়েছে?
উত্তর:
শিক্ষক এবং কবির বক্তব্যে বেশ কিছু মিল দেখা যায়:

  1. তরুণদের শক্তি:
    শিক্ষক বলেছেন, “তরুণরাই দেশের পরিবর্তনের মূল শক্তি।” কবিও তার ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় তরুণদের প্রতিবাদী শক্তি এবং সমাজ পরিবর্তনে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
    উভয়েই তরুণদের শক্তিকে দেশ ও সমাজের পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন।

  2. চিন্তা ও চেতনা:
    শিক্ষক তরুণদের চিন্তা, চেতনা এবং সাহসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কবি আঠারো বছর বয়স কবিতায় তরুণদের চেতনার পরিবর্তন এবং বিপ্লবী মনোভাব তুলে ধরেছেন।
    দুইজনই তরুণদের সমাজের উন্নতির জন্য তাদের চিন্তা ও সাহসের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন।

  3. সমাজের প্রতি দায়িত্ব:
    শিক্ষক তরুণদের সমাজে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, আর কবি তরুণদের সামাজিক দায়িত্ব এবং প্রতিবাদী মনোভাব তুলে ধরেছেন।
    তাই, শিক্ষক ও কবির বক্তব্যে তরুণদের দায়িত্ব এবং বিপ্লবী মনোভাবের একে অপরের সাথে সম্পর্ক রয়েছে।


(গ) উদ্দীপকের আলোকে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার বার্তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার মূল বার্তা হলো তরুণদের সমাজে পরিবর্তন আনতে শক্তি এবং সাহসের গুরুত্ব। কবি এখানে যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তা হলো, আঠারো বছর বয়সে তরুণরা প্রতিবাদী চেতনা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ ধারণ করতে পারে। কবি প্রেমের কবিতা নয়, বরং অস্ত্রের শব্দে কাঁপানো জনপদের চিত্র তুলে ধরেছেন, যা তরুণদের বিপ্লবী মনোভাব এবং আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ বোঝায়।

কবি মনে করেন, এই বয়সে তরুণরা ভালোবাসা, আবেগ ও কবিতার বাইরে গিয়ে সমাজে ঘটে চলা অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে। তার মতে, আঠারো বছর বয়স শুধু প্রেমের নয়, সামাজিক পরিবর্তনের বয়স, যেখানে তরুণরা যুদ্ধ এবং বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের দেশের উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
এভাবে কবি তরুণদেরকে একটি সামাজিক দায়িত্বপ্রতিবাদী মনোভাব পালন করতে আহ্বান করেছেন।


(ঘ) তরুণদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর:
তরুণদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

  1. শিক্ষার মান উন্নয়ন:
    তরুণদেরকে নির্ভরযোগ্য ও প্রগতিশীল শিক্ষা প্রদান করলে তারা তাদের সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব ধারণ করবে। স্কুল এবং কলেজে ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  2. তাদের মতামত শোনা:
    তরুণদের মতামত এবং চিন্তা শোনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা যায়। তরুণদেরকে তাদের মতামত প্রকাশ করতে উৎসাহিত করলে তারা নিজের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে।

  3. সামাজিক কাজের মাধ্যমে অংশগ্রহণ:
    তরুণদেরকে সমাজে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করতে সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানোর প্রয়োজন। যেমন, স্বেচ্ছাসেবী কাজ বা প্রতিবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণ তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

  4. চিন্তা ও চেতনা বৃদ্ধি:
    তরুণদের মধ্যে সমাজ, রাজনীতি, মানবাধিকার এবং নৈতিকতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। তাদেরকে বিপ্লবী চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ এবং আত্মবিশ্বাস দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।

  5. সক্রিয় নেতৃত্বের সুযোগ প্রদান:
    তরুণদেরকে নেতৃত্ব গ্রহণ করার সুযোগ দিলে তাদের মধ্যে প্রতিবাদী মনোভাব এবং দায়িত্বশীলতা তৈরি হবে। তাদেরকে উদ্যোগী হতে এবং সমাজে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে হবে।


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ – এর উত্তর

উদ্দীপক:
সানিয়া তার আত্মজীবনীতে লেখে—“আমার জীবনের সবচেয়ে টালমাটাল সময় ছিল আঠারো বছর বয়স। ভালোবাসা, হতাশা, স্বপ্ন, আবার সমাজের প্রতি ক্ষোভ—সবকিছু একসাথে চলছিল।” তার এই বক্তব্য রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতার সঙ্গে মিল খুঁজে পেল তার বন্ধুরা।


উত্তর:

(ক) কবিতায় আঠারো বছর বয়সের অনুভূতিকে কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে?
উত্তর:
কবিতায় আঠারো বছর বয়সের অনুভূতি প্রতিবাদী, হতাশা, প্রেম এবং সংকটের মিশ্রণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে তরুণদের মধ্যে অস্ত্রের শব্দে কাঁপানো জনপদ এবং সমাজের প্রতি ক্ষোভ বিদ্যমান থাকে।


(খ) সানিয়ার জীবনের অভিজ্ঞতা ও কবিতার ভাবের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:
সানিয়ার আত্মজীবনীর অভিজ্ঞতা এবং রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা-এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মিল রয়েছে।
সানিয়া তার জীবনের আঠারো বছর বয়সে চলা ভালোবাসা, হতাশা, স্বপ্ন, এবং সমাজের প্রতি ক্ষোভ উল্লেখ করেছেন, যা কবিতায় তুলে ধরা তরুণদের বিপ্লবী চেতনা এবং সমাজের প্রতি প্রতিবাদী মনোভাব-এর সঙ্গে মিলে যায়। কবিতায়, তরুণদের মনে থাকে প্রেমের পরিবর্তে একটি বিপ্লবী আগ্রহ, যেখানে তারা সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং অবিচারের বিরুদ্ধে তাদের শব্দ তুলে ধরে। সানিয়া যেমন তার জীবনে একে অপরের সাথে মিশে থাকা অনুভূতিগুলি অনুভব করেছেন, কবিতায়ও আঠারো বছরের তরুণরা একই অনুভূতিগুলি বহন করে।


(গ) কবির দৃষ্টিতে আঠারো বছর বয়সের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর:
কবির দৃষ্টিতে, আঠারো বছর বয়সের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবাদী মনোভাব এবং বিপ্লবী চেতনা। কবি এখানে তরুণদের স্বপ্ন, আবেগ এবং ক্ষোভ তুলে ধরেছেন, যেখানে তারা প্রেমের পরিবর্তে অস্ত্রের শব্দে কাঁপানো জনপদ নিয়ে চিন্তা করে। এ বয়সে তরুণরা স্বাধীনতাসমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ অনুভব করে এবং অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে প্রস্তুত থাকে। তাদের মনে উন্নতির জন্য তীব্র আগ্রহ এবং স্বপ্ন থাকে, যা কখনো কখনো হতাশা ও গ্লানিয়ের সাথে মিশে যায়।


(ঘ) তুমি কি মনে করো আঠারো বছর বয়সে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত? যুক্তিসহ উত্তর দাও।
উত্তর:
আমি মনে করি আঠারো বছর বয়সে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এই বয়সে তরুণদের মধ্যে স্বপ্ন দেখা, স্বাধীনতা, এবং আবেগ থাকে, কিন্তু এ বয়সের অধিক আবেগ কখনো কখনো অপরিণত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হতে পারে। তবে, আঠারো বছর বয়সে তাদের অবশ্যই জীবনের প্রথম বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ এটি অতীতে যা শিখেছে, তা নিয়ে ভবিষ্যতের পথ নির্বাচন করার সময়। এই বয়সে তাদের উচিত নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষা, ক্যারিয়ার বা সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে, সঠিক পরামর্শ এবং অভিজ্ঞদের গাইডেন্স পাওয়ার পরেই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত, যাতে অবসর বা হতাশায় পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়।


✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ – এর উত্তর

উদ্দীপক:
তরুণদের উদ্দেশ্যে এক আলোচনায় বলা হয়, “বয়স যখন আঠারো, তখন জীবন এক নতুন মোড়ে আসে—যেখানে ভুল আর সঠিকের দ্বন্দ্বে বারবার প্রশ্ন আসে নিজের পরিচয় নিয়ে।” একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখায়।


উত্তর:

(ক) ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি ‘মুক্তিযুদ্ধের কথা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।


(খ) আলোচকের বক্তব্য ও কবিতার মূল ভাবের মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর:
আলোচকের বক্তব্য এবং কবিতার মূল ভাবের মধ্যে বেশ কিছু সম্পর্ক বিদ্যমান। আলোচক যেমন বলেছেন, আঠারো বছর বয়সে জীবনের এক নতুন মোড় আসে, যেখানে ভুল আর সঠিকের দ্বন্দ্ব এবং নিজের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন আসে, কবিও তার ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় তরুণদের এই ধরনের মানসিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিবাদী মনোভাব তুলে ধরেছেন।
আলোচক এবং কবির বক্তব্যের মধ্যে মিল হলো, এ বয়সে তরুণরা নিজের পরিচয় এবং সমাজের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দ্বিধায় থাকে, এবং কবি তার কবিতায় এই দ্বন্দ্ব, বিপ্লবী চেতনা এবং বাড়তি আবেগ তুলে ধরেছেন।


(গ) তরুণদের মানসিক দ্বন্দ্ব কেন এ বয়সে বেশি দেখা যায়—বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:
তরুণদের মধ্যে আঠারো বছর বয়সে মানসিক দ্বন্দ্ব বেশি দেখা যায় কারণ:

  1. স্বাধীনতা ও দায়িত্বের সংঘাত:
    আঠারো বছর বয়সে তরুণরা স্বাধীনতা এবং অভিভাবকত্বের সীমাবদ্ধতা অনুভব করে। তারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে চায়, কিন্তু একই সময় তাদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতাপরিবারের প্রত্যাশা থাকে। এই দুইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তাদের মানসিক অবস্থা জটিল করে তোলে।

  2. নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়া:
    এ বয়সে তরুণরা তাদের নিজস্ব পরিচয় এবং দৃঢ় মতামত গঠন করতে চায়। তারা কখনো মনে করে যে, তারা বয়সী হওয়া সত্ত্বেও, সমাজে নিজের স্থান নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে এবং এটি তাদের মানসিক দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে তোলে।

  3. সমাজের চাপ ও প্রত্যাশা:
    তরুণদের সমাজের বিভিন্ন দিকে চাপ থাকে। তাদের থেকে কর্মক্ষমতা, ভালো ফলাফল এবং সামাজিক দৃষ্টিতে পরিপূর্ণতা আশা করা হয়। এ চাপের কারণে তরুণরা নিজের মধ্যে সন্দেহ এবং অবশ্যকতার চাপ অনুভব করতে থাকে।

  4. ভালোবাসা এবং সম্পর্কের জটিলতা:
    আঠারো বছর বয়সে তরুণদের মধ্যে ভালোবাসা, আবেগ এবং সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এবং এর ফলে তাদের মাঝে হতাশাবিষণ্নতা দেখা দেয়, যা মানসিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।


(ঘ) এই বয়সে কীভাবে একজন তরুণ নিজেকে গঠন করতে পারে, তা নিয়ে তোমার মতামত লেখো।
উত্তর:
আঠারো বছর বয়সে তরুণদের নিজেদের গঠনউন্নয়ন করার জন্য কয়েকটি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে:

  1. আত্মবিশ্বাস এবং আত্মজ্ঞান অর্জন:
    তরুণদের প্রথমেই তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং আত্মজ্ঞান গড়ে তুলতে হবে। তারা যেন নিজের শক্তি, দুর্বলতা, এবং আগ্রহ বুঝে, সেটি তাদের আত্ম-উন্নয়নে সহায়ক হবে। আত্মবিশ্বাসী হলে তারা তাদের পথ নির্ধারণ করতে পারবে।

  2. দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির করা:
    তরুণদের উচিত দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির করা এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে পদক্ষেপ নেওয়া। এ বয়সে স্বপ্ন দেখানির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের ভবিষ্যতকে সঠিক পথে গাইড করবে।

  3. প্রকৃত বন্ধু ও গাইড নির্বাচন:
    তরুণদের উচিত সঠিক বন্ধু এবং গাইড নির্বাচন করা, যারা তাদেরকে ইতিবাচক পথে পরিচালনা করতে পারবে। তারা যেন তাদের মন্তব্য, পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা থেকে শিখে নিজেদের গঠন করতে পারে।

  4. সমাজিক দায়িত্ব পালন:
    তরুণদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ব পালন করার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা তাদের জীবনে গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে এবং তারা সমাজে পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

  5. সন্দেহ ও হতাশাকে কাটিয়ে উঠা:
    তরুণদের উচিত সন্দেহ, হতাশা এবং নিজেকে নিয়ে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতে মনোযোগী হওয়া। ইতিবাচক চিন্তা এবং সংগ্রামী মনোভাব তাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

✍️ সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ – এর উত্তর

উদ্দীপক:
আকাশ তার স্কুল ম্যাগাজিনে একটি প্রবন্ধ লিখেছে—“আঠারো বছর বয়স: ভয়ংকর সুন্দর একটি সময়।” এই শিরোনামটিই মূলত এসেছে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা থেকে।


উত্তর:

(ক) ‘ভয়ংকর সুন্দর’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর:
‘ভয়ংকর সুন্দর’ বলতে কবি আঠারো বছর বয়সের অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা, এবং নতুনত্বের বিপরীতভাবে চলে আসা ভয় এবং সৌন্দর্য দুইয়ের মিশ্রণ বোঝাতে চেয়েছেন। এই বয়সে তরুণরা যেমন নতুন চিন্তা, আবেগ, প্রতিবাদ এবং স্বাধীনতা অনুভব করে, তেমনি তাদের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি, অস্থিরতা, এবং সমাজের চাপে থাকার কথা থাকে।


(খ) আকাশের লেখা ও কবিতার ভাবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।
উত্তর:
আকাশের প্রবন্ধ এবং কবিতার ভাবের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আকাশ তার লেখায় আঠারো বছর বয়সকে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ বলে বর্ণনা করেছেন, যেখানে তরুণরা নতুন জীবন, অনুভূতি, স্বাধীনতা এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ অনুভব করে। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতাতেও আঠারো বছর বয়সের দ্বৈততা — একদিকে স্বাধীনতাপ্রতিবাদ, অন্যদিকে ভয় এবং অস্থিরতা — তুলে ধরা হয়েছে। দুজনেরই বক্তব্যে আঠারো বছর বয়স একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু সুন্দর সময় হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, যেখানে ভয়ের পাশাপাশি নতুনত্বের আনন্দও রয়েছে।


(গ) আঠারো বছর বয়সের দ্বৈত রূপ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
আঠারো বছর বয়সের দ্বৈত রূপে দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান:

  1. স্বাধীনতা এবং প্রতিপত্তি:
    এই বয়সে তরুণরা জীবনের প্রথম স্বাধীনতা এবং কোনো বাধার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অনুভব করে। তারা স্বপ্ন দেখে, ভবিষ্যত গঠন করতে চায় এবং সমাজে নিজের অবস্থান স্থির করতে চায়। এটি তাদের মধ্যে এক ধরনের শক্তি ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করে, যা জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়।

  2. অস্থিরতা এবং দ্বন্দ্ব:
    তবে, এ বয়সে তরুণরা নতুন চ্যালেঞ্জ এবং অস্থিরতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু একদিকে সমাজ, পরিবার এবং শিক্ষাগত চাহিদার চাপ তাদের ভেতরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। এ বয়সের মধ্যে থাকে ভয়ের অনুভূতি, বিকাশের অস্থিরতা, এবং হতাশা যা দ্বৈতভাবে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।


(ঘ) বর্তমান তরুণ প্রজন্ম কীভাবে এই বয়সটিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারে—তোমার মত দাও।
উত্তর:
বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে আঠারো বছর বয়সকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানোর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক অনুসরণ করা উচিত:

  1. স্বপ্নের পেছনে ছোটা এবং লক্ষ্য স্থির করা:
    তরুণদের উচিত তাদের স্বপ্ন এবং লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা এবং সেগুলির দিকে এগিয়ে যেতে পরিশ্রম এবং দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করা। স্বপ্নের পেছনে ছোটা তাদেরকে জীবনে একটা দিশা দিতে পারে।

  2. নিজেকে চিনে নেওয়া এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা:
    আঠারো বছর বয়সে তাদের উচিত নিজের শক্তি, দুর্বলতা, আগ্রহ এবং ক্ষমতা বোঝা। আত্মবিশ্বাসী হলে তারা নিজের পথ খুঁজে পাবে এবং আত্মমর্যাদা তৈরি করবে।

  3. সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা গড়ে তোলা:
    তরুণদের উচিত সমাজে তাদের ভূমিকা বুঝে নিয়া সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তারা স্বেচ্ছাসেবক বা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে। সামাজিক সচেতনতা তাদেরকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

  4. এখনকার সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানো:
    আঠারো বছর বয়সে তাদের উচিত তাদের সময়ের সদ্ব্যবহার করা। যাতে তারা ভুল করে না যায়, তাদের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে এবং শিক্ষা, সৃজনশীলতা, ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

  5. আবেগ এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা:
    তরুণদের উচিত আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য সৃজনশীলতাধৈর্য ব্যবহার করা। তারা যেন তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসী ও সফল হতে পারে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ