শেখ হাসিনার ছবি বাদ, পাঠ্যবইয়ে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে ঐতিহাসিক গ্রাফিতি

পাঠ্যবইয়ে থাকছে না শেখ হাসিনার ছবি, যুক্ত হচ্ছে গ্রাফিতি  © সংগৃহীত 


প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বইয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পাঠ্যবইয়ে এখন জুলাই অভ্যুত্থানের দেয়ালচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তাঁর উদ্ধৃতি সরিয়ে সেখানে নতুন কিছু বাণী যোগ করা হচ্ছে। ইতিহাস সংক্রান্ত কিছু বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানো নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, কারণ বই পরিমার্জনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং ছাপানোর কাজও বাকি।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভ্যুত্থানের ঘটনাটি নতুন হওয়ায় বইয়ে বিস্তারিত লেখা না দিয়ে কিছু বইয়ের ভেতরে অভ্যুত্থানের ছবি বা গ্রাফিতি যোগ করা হবে। বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের কিছু অংশে এসব ছবি থাকবে। অন্যদিকে, বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও উদ্ধৃতির জায়গায় নতুন কিছু চিরন্তন বাণী যুক্ত হবে।


এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে নতুন অধ্যায় যোগ করার চিন্তা আছে, তবে মানসম্মত লেখা পেলেই তা সম্ভব হবে এবং এর জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। কিছু বইয়ে অভ্যুত্থানের কিছু ছবি ইতোমধ্যে যোগ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বই ছাপার দায়িত্ব আগে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পেলেও সমালোচনার কারণে তা বাতিল করে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে দরপত্র দিয়ে কাজ দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি আশা করছে, জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছানো সম্ভব হবে।

এদিকে, সরকার ২০১২ সালের পুরোনো শিক্ষাক্রমকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৫ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ